The Covid-19

 Amid the Covid-19 pandemic raging throughout the best part of 2021, Bangladesh had to tackle myriad challenges to ensure vaccines for its citizens.

So far, over half the population received the first dose, and the government aims to administer a double dose for all eligible persons by June and a booster dose by the end of this year.

Government officials say they have now overcome the initial challenges, including a

smooth vaccine supply.

The government is also working to set up a vaccine plant to cut dependency on other countries, although progress has been slow.

"We are hopeful about setting up a vaccine plant next year for our own vaccine production," Health Minister Zahid Maleque told The Daily Star recently.

He said initially there were challenges but health workers did a fantastic job inoculating around eight crore people with the first dose.

Alongside jabbing the adults, the government is now vaccinating children aged 12 and above and has launched a booster dose campaign on a limited scale.

The booster dose coverage will soon be widened -- targeting vulnerable groups like the elderly and frontline workers, including medical professionals.

Currently, around 13 lakh doses are being administered every day, thanks to the supply from China's Sinopharm and other sources.

But it was not as smooth when the mass inoculation was launched on February 7 last year mainly due to "vaccine nationalism", misinformation and skepticism.

The government began the campaign with a contract for three crore doses of AstraZeneca vaccines procured from Serum Institute of India, and commitments of 6.8 crore doses from Covax, a global initiative, by 2021.

But the campaign had to be postponed for around a month due to a sudden suspension of vaccine supply from Serum.

Serum stopped the supply of the purchased vaccine after sending only 70 lakh doses in two consignments following the Indian government's embargo on export in April 2021.

Cox's pledge to supply vaccines to low-income countries also suffered a blow due to vaccine nationalism, a popular phrase used during the pandemic as a reference to wealthy governments signing agreements with manufacturers to secure supply for their own populations.

The Serum suspension forced the government to explore other sources. The campaign resumed after 1.5 crore doses of the Sinopharm vaccine were purchased from China in June. The government procured another six crore doses of Sinopharm in August.

Besides, the country got around one crore doses of different brands from Covax in phases.

Apart from this, the government started administering Pfizer vaccines, received as donations under Covax arrangements, mostly among students and Middle East-bound migrant workers.

As the supply became smooth, the campaign got some momentum -- the government reduced the age bar from 55 years to 40 and ensured better management. Soon the age bar was lowered from 40 to 18 years in efforts to boost the vaccination rate and open the long-closed education institutions.

To ramp up vaccination, the government also launched several special drives to bring more people under the coverage, especially for people living in rural areas with limited access to online registration. The registration through the Surokkha app started on January 26.

There were some complaints of irregularities and sufferings in special drives. But apart from that, regular vaccination campaigns through over 1,000 centers across the country were generally trouble-free.

Experts said tireless efforts from health professionals and a strong setup of the Expanded Programme on Immunisation (EPI) helped better vaccine management despite the ill-equipped public health facilities overburdened with the influx of Covid-19 patients.

Bangladesh, however, failed to make any considerable progress in vaccine production.

The government struck a trilateral agreement for bottling, labeling, and dispensing China's Sinopharm vaccine in August. Under the deal, Bangladesh's Incepta Vaccines Ltd is expected to supply five million doses of Covid vaccines a month from its plant in Savar, but the production is yet to start. 

For the last few months, the country has seen a gradual decline in Covid deaths and infections after the Delta variant, detected in May, ravaged the country in June and July.

But the detection of the Omicron variant in late November raised alarm bells. The World Health Organisation has labeled Omicron as a variant of concern.

Experts say vaccination, which curbs hospitalization and deaths, is key to tackling coronavirus, along with maintaining health guidelines.

Prof Be-Nazir Ahmed, a public health expert and former director of DGHS, said Bangladesh started well in vaccination but slipped due to dependency on a single source of vaccine.

"But Bangladesh recovered from that slip very well in managing vaccines and in inoculation. But still, the vaccination coverage is not at the expected level, especially when we are a champion in vaccinating people."

Dr. Shah Ali Akbar Ashrafi, chief of the health Information Unit of DGHS, said it was not easy to work with a completely digital vaccine management system as adult education was a challenging process.

"We needed to teach statisticians from 492 Upazila health complexes and 64 district offices quickly. We needed to hire data assistants right away. We used the online platform Zoom to train many healthcare workers in Surokkha.

"Management Information System had to go through a critical period at the start. All of the officers, data assistants, and support staff were working round the clock to resolve the issues."

 

বিপদ, অনিশ্চয়তা, তবু আকাঙ্ক্ষা

 ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ২০২২ সাল হতে যাচ্ছে বিপদের সঙ্গে বসবাসের আরেকটি বছর। কোভিড-১৯-এর নতুন ধরন অমিক্রন, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে নানা ধরনের সংঘাত ও উত্তেজনা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—সব মিলিয়েই গার্ডিয়ান-এর এই বিশ্লেষণ। জীবনানন্দ দাশ যেমনটা লিখেছিলেন, ‘আলো যেন কমিতেছে-বিস্ময় যেতেছে নিভে আরো।’

বৈশ্বিক পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশও খুব দূরে নেই। মূল্যস্ফীতির চাপ এখানেও বাড়ছে, প্রণোদনার ঋণ ব্যাংকে ফিরে আসবে কি না, তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা, থাকবে নির্বাচনের আগের বছরের সরকারের ব্যয় বাড়ার চাপ। অমিক্রনের সংক্রমণ কতটা ছড়াবে, আফ্রিকা থেকে আসা নতুন এই ধরন কতটা প্রাণঘাতী ও টিকার কার্যকারিতা কতটা—এর ওপরই নির্ভর করছে ২০২২ সালের ভবিষ্যৎ। ফলে ২০২২ সালটি এখনো অনিশ্চয়তারই বছর।

সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এখন পয়লা নম্বর বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের প্রায় সব দেশই মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। অথচ ২০২১ সালের শুরুতে মনে হয়েছিল, বছরটি হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের। কারণ, তখন টিকা বাজারে চলে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বেশ সফলও হয়েছিল। ফলে সবারই অগ্রাধিকারে ছিল অর্থনীতি পুনরুদ্ধার। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিকে এসে সরবরাহ ব্যবস্থায় নানা বিঘ্ন প্রকট হলে পুনরুদ্ধারের গতিও খানিকটা শ্লথ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে আবার পুরোনো লোকসান পুষিয়ে নিতে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও রাশিয়া জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এর প্রভাব পড়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রধান অস্ত্র হচ্ছে অর্থ সরবরাহ কমিয়ে আনা। এ জন্য বাড়াতে হয় সুদহার। কিন্তু অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সময়ে সুদহার বাড়ানো উল্টো ফল দিতে পারে। এতে কমবে বিনিয়োগ। সন্দেহ নেই, নতুন বছরে এ নিয়ে চলবে নানা আলোচনা ও বিতর্ক। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়েও সুদহার আরও কমাতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চাপ দিয়েই যাচ্ছেন, অন্যদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এরই মধ্যে সুদহার বাড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভও এই পথে হাঁটবে।

দেশেও এখন মূল্যস্ফীতি ৬ ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে মূল্যস্ফীতি যতটা, সীমিত আয়ের মানুষ টের পাচ্ছেন আরও বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের নীতিনির্ধারকেরা ‍মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধি নিয়ে কতটা চিন্তিত। অবশ্য দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে অস্ত্র একেবারেই কম। বিনিয়োগ মন্দার সময়ে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর কথা সরকার ভাববে না বলেই মনে হয়। সুতরাং বাংলাদেশকে ভরসা করতে হবে বৈশ্বিক মূল্য পরিস্থিতির ওপরেই।

অমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী, তা জানা যাবে নতুন বছরের শুরুতেই। ইউরোপের কিছু দেশ আবারও লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নতুন বছরটি বাংলাদেশের জন্য নির্বাচনী বছর নয়। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ অর্থবছর শুরু হবে আগামী জুলাই মাস থেকেই।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ দিনে না রাতে হবে, সে আলোচনা এখানে নয়। তবে গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাক না পাওয়া কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ থাকবে। রাজনৈতিক ঘটনা যা-ই থাকুক, নতুন বছরে ব্যয় বৃদ্ধির একটি চাপ থাকবে। অতীতেও দেখা গেছে, নির্বাচনের আগের বছর থেকেই সরকারের ব্যয় বাড়ে। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার নানা কৌশল সরকারকে করতে হয়। এই অর্থ কোথায়, কার কাছে যাবে, সেটাই হবে দেখার বিষয়।

যদিও অর্থ ব্যয়ের জন্য অনুকূল বছর ২০২২ নয়। মূল্যস্ফীতি এ ক্ষেত্রে একটি বড় বিবেচনা। আবার সরকার গত দুই বছরে যে প্রণোদনা তহবিল দিয়েছে, তার বড় অংশই মূলত ব্যাংকঋণ। এই অর্থ ব্যাংকে কতটা ফেরত আসবে, এ নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। সুতরাং নতুন বছর হতে পারে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ লাফ দেওয়ার বছর।

নতুন বছরে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন দেশের রাষ্ট্রপতি। তবে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে, গঠিত হবে সবার পছন্দের নির্বাচন কমিশন, যাঁরা স্বাধীনভাবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন—এসব যাঁরা ভাবছেন, তাঁরাই হচ্ছেন নতুন বছরের সবচেয়ে আশাবাদী মানুষ। বরং রাজনীতির মাঠে যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, প্রার্থী হতে মরিয়া চেষ্টা, অপরকে জায়গা না দেওয়ার প্রবণতা, অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি—সবই বজায় থাকবে নতুন বছরেও।

পারমাণবিক অস্ত্রের প্রশ্নে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কী ব্যবস্থা নেবে, সে আলোচনা শেষ হওয়ার নয়। লেবানন, লিবিয়া বা ইয়েমেন নিয়ে মাথাব্যথাও থাকবে। তবে নতুন বছরে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বড় ঘটনা হবে কাতারের বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাটি হবে। সব ভুলে ফুটবলের দিকে মনোযোগ দেওয়ার বছর ২০২২।

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও সংকটের অভাব নেই। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ তো আছেই। আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের গতিবিধিও সবার নজরে থাকবে। চীন ও তাইওয়ানের সম্পর্ক নিয়েও আছে নানা উত্তেজনা। এশিয়ার ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীন। আগামী নভেম্বরে ‍সিনেটের আসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও বড় পরীক্ষা দিতে হবে।

সব মিলিয়ে নতুন বছরটি এখনো নানা অনিশ্চয়তায় ভরা। আপাতত অমিক্রনের ওপরই নির্ভর করছে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার। নতুন বছর ধরে যত আশা, আকাঙ্ক্ষা বা সম্ভাবনা—সবকিছুই নির্ভর করছে আপাতত এই অমিক্রনের ওপর। তবে নতুন বছরটি হোক মহামারি চলে যাওয়ার বছর, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বছর, স্বাভাবিক জীবনযাপনের বছর। শান্তিবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের একটি উক্তি দিয়েই শেষ করা যাক। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা হয়তো অসংখ্যবার হতাশ হব, কিন্তু তারপরও অসংখ্যবার আমাদের আশা করতে হবে।’